ঢাকার দোহারে পদ্মা নদীর পানিতে ডুবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়েছে। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৬ মার্চ) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিরস্ত্র) জহিরুল ইসলাম। এজন্য প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত।
দোহার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শওকত হোসেন বিষয়টি জানান।
এ মামলার আসামিরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, মো. আশরাফুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু। এ মামলার ১৫ আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৪ জুলাই দোহারের মৈনট ঘাটে একসঙ্গে পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান ১৫/১৬ যুবক। সেদিন সন্ধ্যার পর সানি নামে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। রাতেই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোহার থানা পুলিশ।
এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরদিন ১৫ জুলাই সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল। সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান।