সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে টিপকাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেকের মিথ্যচার। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেছিলেন, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার সময় তেজগাঁ কলেজের সামনে শিক্ষক লতা সমাদ্দারের সঙ্গে কথাকাটি হয়।
এদিকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে একই দাবি করেছিলেন নাজমুলে স্ত্রী।
তাদের এমন দাবির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন মতামত উঠে আসে। অনেকে সেই ভাইরাল ছবিটি শেয়ার করে বলতে থাকেন, নাজমুলের বাইকের পিছনে তার গর্ভবতী স্ত্রী বসা ছিলেন। অথচ এনিয়ে কিছু বলেননি প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বলে দাবি করা হয়।
ভাইরাল ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকেই লিখেছেন, টিপ নিয়ে শিক্ষককে হেনস্তাকারী অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুলের বাইকের পেছনে তার গর্ভবতী স্ত্রী বসে ছিলেন, সিসিটিভির ফুটেজে যা স্পষ্ট। কিন্তু সেই গর্ভবতী নারীর বিষয়টি কেন এড়িয়ে গেলেন? লতা সমাদ্দার থানায় যে অভিযোগ করেছেন, সেখানেও উল্লেখ করেননি, পুলিশ সদস্যের গর্ভবতী স্ত্রীর কথা। অথচ পুলিশ সদস্য ও লতা সমাদ্দারের বাকবিতণ্ডার সূচনাই হয় পুলিশ সদস্যের গর্ভবতী স্ত্রীর পায়ের সাথে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে।

কিন্তু অনুসন্ধানে, পুলিশের ওই কনস্টেবল জিজ্ঞাসাবাদে মিথ্যাচার করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই সময়ের সিসিটিভ ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তখন নাজমুল একাই মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন, আর পেছনে ছিল একটি হলুদ ব্যাগ। কোনো ছবিতে নাজমুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর উপস্থিতির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
পরে সিসিটিভির ফুটেজের মুখোমুখি করা হলো নাজমুল ও তার স্ত্রী স্বীকার করেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিথ্যা বলেছিলেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত কাজ চালানো হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।