‘আমি কে? আমি প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার সদস্য। আই এম দ্য কেবিনেট মেম্বার। আইএম দ্য লিডারশিপ অব আওয়ার প্রাইম মিনিস্টার। হার এক্সিলেন্সি শেখ হাসিনা। আমি তো তাকেই রিপ্রেজেন্ট (প্রতিনিধিত্ব) করি। আল্লাহর রহমতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় প্রতিমন্ত্রী হয়েছি। আর কী চাওয়া পাওয়ার আছে ‘
সোমবার সন্ধ্যায় বিএফডিসিতে ‘স্বপ্নের রাজকুমার’ ছবির শুভ মহরত অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ কেউ আবার পাগলের মতো টিভির সামনে বলে-‘সংবিধান নিয়ে এসব বলছেন কেন? পদত্যাগ করেন’। এইসব পাগলদের প্রলাপ না শোনে স্বাভাবিক সুস্থভাবে চিন্তা করে দেখেন-আল্লাহর রহমতে মন্ত্রী ছিলাম, এখনও মন্ত্রী আছি। কালকে থেকে মন্ত্রী না থাকলে অসুবিধা নাই তো। ওয়ান্স মিনিস্টার অলওয়েজ মিনিস্টার (একবার যে মন্ত্রী হয়েছে সে সবসময়ই মন্ত্রী), ওয়ান্স এমপি অলওয়েজ এমপি (একবার যে মন্ত্রী হয়েছে সে সবসময়ই মন্ত্রী), ওয়ান্স হিরো অলওয়েজ হিরো (একবার নায়ক মানে আজীবন নায়ক), ওয়ান্স ফিল্ম ডিরেক্টর অলওয়েজ ফিল্ম ডিরেক্টর।
মুরাদ হাসান বলেন, আপনারা তো জানেন, আমি ডাক্তারদের প্রতিমন্ত্রীও ছিলাম সাড়ে ৪ মাস। কিন্তু আমাদের মন্ত্রী মহোদয় অনেক বড় মন্ত্রী তো, এইজন্য ঠিকমতো ভালো করতে পারছিলাম না। এইজন্য আমাকে এইখানে (তথ্য মন্ত্রণালয়ে) দেওয়া হলো। এখানে আমার দায়িত্ব হচ্ছে কথা বলা। আমি ম্যানেজারের মতো কাজ করা, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম দিকে আমাদের মন্ত্রীদের কেউ কেউ না বুঝে না জেনে কথা বলেছিল। এটা ঠিক, এভাবে বলা উচিত হয়নি। না বুঝে কথা বলাটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। কিন্তু আমাদের বাঙালিদের বেশি কথা বলার বদ অভ্যাস আছে। কম কথা বললে ভুল কম হয়। এজন্য আমি বেশি কথা বলতে চাই না। বেশি কথা বললে ভুল হয়।