আরও এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। যাকে বলে বাস্তব মিরাকল। তুরস্কে ভূমিকম্পের ৬ দিন পর রোববার কয়েক তলার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধারকর্মীরা ১০ বছর বয়সী এক বালিকাকে জীবন্ত উদ্ধার করেছেন।
এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে দুনিয়াজুড়ে। এতে দেখা যায় ধসে পড়া ভবনের ভিতর দিয়ে সংকীর্ণ একটি গর্ত করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। তার ভিতর দিয়ে একজন মানুষ কষ্ট করে নিচে নামা যায়।
এর কয়েক তলা নিচ পর্যন্ত এমন গর্ত করা হয়েছে। তার প্রতিটি স্তরে একজন করে উদ্ধারকর্মী অবস্থান নেন। একদম নিচ থেকে ওই বালিকাকে জীবন্ত উদ্ধার করে গর্ত দিয়ে বের করে আনা হয়। এ সময় কুদি নামের ওই বালিকা ছিল নিশ্চল। তাকে দ্রুত এম্বুলেন্সে নিয়ে শুইয়ে দেয়া হয়। এরপর দেয়া হয় চিকিৎসা। আল্লাহর অশেষ রহমতে সে চোখ তুলে তাকিয়েছে।
ওদিকে ভূমিকম্প দুর্গত মানুষের মধ্যে খাদ্য ও পানি নিয়ে চলছে লড়াই। প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর মধ্যে হয়েছে সংঘর্ষ, ‘গোলাগুলি’। এসব ঘটনায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছিল। গোলাগুলির পর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ কারণে অনেক ত্রাণ বিষয়ক সংগঠন তাদের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়া গেছে যে, জার্মানির উদ্ধারকারী ও অস্ট্রিয়ান আর্মির সঙ্গে নিরস্ত্র গ্রুপগুলোর সংঘর্ষ হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে খাদ্য সরবরাহ আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, তুরস্কে ২৯ হাজার ৬০৫ জন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৭৪ জন মারা গেছেন। দুই দেশ মিলিয়ে মোট ৩৩ হাজার ১৭৯ জন মানুষ মারা গেছেন। গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃত্যুসংখ্যা এর দ্বিগুণ হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।