মাদারীপুরে তৃতীয় লিঙ্গের খপ্পরে পড়ে ইয়াসিন আরাফাত (১৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্র তার গোপনাঙ্গ হারিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ইয়াসিনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে তার পরিবার।
ভুক্তভোগী ইয়াসিন আরাফাত মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর এলাকার রেজাউল মোড়লের ছেলে। ঘটনায় সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ইয়াসিনের নানি নাছিমা বেগম জানান, চরগোবিন্দপুর এলাকার খলিল নপ্তীর ছেলে ভ্যানচালক নুরু নপ্তীর সঙ্গে সখ্য ছিল ইয়াসিনের। নুরু নপ্তীর ভ্যান দিয়ে মাদারীপুরের মঠেরবাজার এলাকার তৃতীয় লিঙ্গের জুঁই ও তাঁর দলবল বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতেন। সেই সূত্রে ইয়াসিনকে জুঁইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। গত বৃহস্পতিবার ইয়াসিনকে চিকিৎসার কথা বলে জুঁই নুরু নপ্তীকে দিয়ে খুলনা জেলার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে গিয়ে জোরপূর্বক অচেতন করে তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়।
ঘটনার পরে ইয়াসিনের জ্ঞান ফিরলে বাসায় যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে। পরদিন শুক্রবার বিকেলে নুরু নপ্তী তাকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে বাড়িতে রেখে স্থানীয় চিকিৎসক দেখালে ইয়াসিন অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইয়াসিন আরাফাত বলে, `আমাকে চিকিৎসার কথা বলে নুরু নপ্তী ও জুঁই হিজড়া এ সর্বনাশ করছে। আমার মতো আর কোনো ভাইয়ের যেন এমন ক্ষতি না হয়, সে জন্য প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, মামলা করার মতো সামর্থ্য নেই। যদি পুলিশ সহযোগিতা করে তাহলে মামলা করব।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ কাটা ছিল। সেখানে সেলাই করে পাইপ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এখন কিছুটা সুস্থ তবে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। আপাতত আমাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
মাদারীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর রোয়াজা বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’