চাটখিল(নোয়াখালী) প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে বাংলালিংক কোম্পানির দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাটখিল উপজেলার তালতলা আফসারখিল এলাকার শিব্বির আহমেদ।
বাংলালিংক কোম্পানির টাওয়ার স্থাপনা চুক্তি নবায়ন এবং পুরাতন পাওনা নিষ্পত্তির দাবিতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আফসারখিল বাংলালিংক মোবাইল টাওয়ার সংলগ্ন নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিব্বির আহমেদ। বক্তব্যে তিনি বলেন, তার শ্বশুর আবদুল মন্নান ১৫নং আমিরথি মৌজার ৩৯৪ বি এস খতিয়ানের ৫.৭৬ দাগের নিজস্ব জমিতে টাওয়ার নির্মাণের চুক্তি করে বাংলালিংক কোম্পানির সাথে।
২০০৮ সালের ২১জুলাই বাংলালিংক এর সাথে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। লিখিত চুক্তিতে জমির মালিককে প্রথম ৫ বছরে বার্ষিক ৫৪ হাজার টাকা, ২য় ৫ বছরে ৬৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং শেষ ৫ বছরে বার্ষিক ৭৭ হাজার ৭৬০ টাকা প্রদানের শর্ত উল্লেখ থাকে। শর্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত ভাবে বার্ষিক ভাড়া পরিশোধ করতে থাকে।
পরে বাংলালিংক কোম্পানি তার শ্বশুরকে গত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর ৫৭ হাজার ও ২০২১ সালের ১৮ জুলাই ২৮ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করে। কিন্তু তিনি চেক থেকে টাকা উত্তোলন করতে ব্যর্থ হয়। অর্থ উত্তোলনে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে একাধিকবার বাংলালিংক কোম্পানিকে জানানো হলেও তারা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
পরবর্তীতে টাওয়ার স্থাপিত জমিটি তার শ্বশুর আবদুল মন্নান নিজের মেয়ে নিলুফা আক্তারের কাছে বিক্রি করেন। পরে নিলুফা আক্তার সেই জমি শিব্বির আহম্মেদের কাছে বিক্রি করে।
চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে স্থাপিত বাংলালিংক টাওয়ারের জমির মালিক বার্ষিক ৭৭ হাজার ৭৬০ টাকা ভাড়া পাবেন। টাওয়ার স্থাপিত জমির মালিকানা পরিবর্তন হওয়া এবং পূর্বের মালিক আব্দুল মন্নান মারা যাওয়ায় নতুন চুক্তি অবশ্যক হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নতুন চুক্তির জন্য বাংলালিংক কোম্পানির হেড অফিসে কয়েক দফায় নোটিশ পাঠানো হলেও এবিষয়ে ভ্রুক্ষেপ করছেনা।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট বিভাগের দৃষ্টিআকর্ষণ করেছেন জমির বর্তমান মালিক শিব্বির আহমেদ। তিনি স্বনামধন্য কোম্পানির প্রতি চুক্তি নবায়ন ও পাওনা পরিশোধের অনুরোধ জানিয়েছেন।