নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শুভ (১৯) ও তার মা ইয়াসমিন আক্তার (৩৮) এবং বন্ধু ফরহাদ হোসেন (২২) সহ তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর মা বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক ও তার মা এবং সহযোগী পলাতক রয়েছে।
সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাতবাড়িয়া গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী একই ইউনিয়নের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী।
এজাহার সূত্রে পুলিশ জানায়, উপজেলার ডমুরুয়া ইউপির জিরুয়া গ্রামের ওই স্কুলছাত্রী (১৪) ছোট বেলা থেকে নানা বাড়ি একই ইউনিয়নের হরিণকাটা গ্রামে থেকে পড়ালেখা করে আসছিল। এর সুবাদে সাতবাড়িয়া গ্রামের প্রতিবেশী মিজি বাড়ির গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩০ সেপ্টম্বর রাতে মেহেনী হাসান শুভর মা ইয়াসমিন আক্তার ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীকে তাদের বাড়িতে যাবার জন্য বলে। প্রেমিকের মায়ের কথা মতো পরদিন (১ অক্টোবর) ওই স্কুল ছাত্রী শুভদের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী দেখেন তার প্রেমিক শুভ ও তার বন্ধু ফরহাদ ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই। এসময় স্কুল ছাত্রী ওই বাড়ি থেকে চলে আসতে চাইলে প্রেমিক শুভ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে নিজ বসতঘর ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এরপর ওই ধর্ষক ফের স্কুল ছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে ৭ নভেম্বর পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলায় নিয়ে আবারো ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে বুধবার ধর্ষক মেহেদী হাসান শুভ, তার বন্ধু পারভেজ ও শুভ’র মা সহ তিনজনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানায় মামলা দায়েরের পর পরই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তারা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে । তবে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।