খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনকে গত ২১ মার্চ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে মারধরের ঘটনায় জাতীয় ও আঞ্চলিক অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। স্থানীয় সাধারণ জনগণ নিউজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে। নিউজ শেয়ারকে কেন্দ্র করে ২৩ মার্চ (বুধবার) দুপুরে ৭-৮ জন চেয়ারম্যানের সমর্থক সংঘবদ্ধভাবে আমিরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। খুলনা জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নেতা কবিরুল ইসলাম ও রফিকের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা যায়। হামলাকারীরা আমিরুল ইসলাম সহ তার পরিবারের সদস্য শরিফুল ও রহিমাকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় তারা আমিরুল ইসলামের একটি গোলপাতার ছাউনি ঘরেও আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আগুন নিভাতে সহায়তা করে। এদিকে আহতদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আমিরুলের পরিবার জানায়, শুধু ফেসবুকে নিউজ শেয়ারের কারণে চেয়ারম্যানের নির্দেশে কবিরুলের নেতৃত্বে এ হামলা করে।তারা ব্যাপক মারপিট করে এবং ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাদের সাথে কোন পূর্ব শত্রুতা নেই।
কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু বলেন, আমি খবর পেয়ে ছাত্রলীগের কর্মী আমিরুল ও তার অবরুদ্ধ পরিবারকে থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করি। এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এব্যাপারে জানতে জেলা ছাত্রলীগ নেতা কবিরুল ইসলাম তার উপর আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমাকে ফাসানোর জন্য একটি পক্ষ আমাকে দোষারোপ করছে। আমি এই ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানিনা।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার বলেন, হামলায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত পূর্বক সাংগঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন বলেন, ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত ৩ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: মানব কণ্ঠ