মো. জোবায়ের হোসাইন ভূইয়া
বাইসনের সেই গুহা থেকে মানুষ বেরিয়ে এল, দেখল নতুন পৃথিবী- আবিষ্কার করলো নিজেকে আলাদাভাবে সেদিন বুঝতে পারিনি তারাও এ পৃথিবীতে শিল্পের উন্মেষ ঘটাবে আর জীবনের প্রয়োজনেই তারা গুহাতে একেছিল শিকারের অসংখ্য কৌশল। তারপর এ মানুষ বিপদসংকুল জীবনযাত্রাকে আরো সহজসাধ্য করার তাগিদ অনুভব করল কল্পনা করল এক অনাবিষ্কৃত সারল্য। সেই কল্পনা বাস্তবে রুপ নিল। সৃষ্টির স্বপ্ন হল উন্মচিত। আবিস্কৃত হল লেখার হরফ। সেই হায়ারোগ্লিফিকের যুগ থেকে অক্ষর এখন মুক্ত বিহঙ্গ।
পরিশেষে, সৃষ্টি হল ভাষা। অঞ্চলভেদে এর পার্থক্য ক্রমে বাড়তে লাগলো। তারপর গড়িয়ে গেল হাজার বছর। বাদ পড়লো না বঙ্গপোসাগরবিধেীত এ অঞ্চলটিও। জন্ম নিল আর্য-অনার্যসহ সংস্কৃত আর বাংলার ঐশ্বর্য, রুপ বৈচিত্রে মুগ্ধ হয়ে আরব, ইরান, তুরান আফগান, তুর্কি মোগলের সহ মিলনে জন্ম নিল এক শিশু। শিশুটি আর কেউ নয়, বাঙ্গালা। এরই পরিবর্তিত রুপ বাংলা।
ভাষা হচ্ছে একটি জাতিসত্তার পরিচায়ক। প্রত্যেকটি ভাষার নিজস্ব স্বকীয়তা আছে যার মাধ্যমে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তদরুপ আমাদেরও রয়েছে মাতৃভাষা। সেটির নাম হচ্ছে ‘বাংলা ভাষা’ । এজন্য আমরা বাঙ্গালী। পৃথিবীতে সাড়ে সাত হাজারের মত ভাষা বিদ্যমান তার মধ্যে বাংলা ভাষার অবস্থান চতুর্থ।
আমরা বাংলায় কথা বলি এবং বাংলায় চিন্তা, অনুভূতি, ও হ্রদয়ের ভাবাবেগ একে অপরের সাথে আদান-প্রদান করি। এই যে আমরা বাংলা ভাষায় অনুভূতি ব্যক্ত করি, এটি কি খুব সহজেই অর্জন করতে পেরেছি? না, পারি নাই। এটি অর্জন করতে ঝরাতে হয়েছে রক্তস্রোত!
সেই নির্মম ইতিহাস কি আমরা জানি? কিভাবে সংঘটিত হয়েছিল ভাষা আন্দোলন?
ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল, ১৯৪৮ সালের ২১ শে মার্চ মাসে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্থানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) একটি ভাষণে বলেছিলেন, “Urdu shall be state language of Pakistan.” অর্থাৎ, পাকিস্থানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু। এর প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠৈ এবং সমস্বরে উচ্চারণ করতে থাকে না, না, না।
পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্ব পাকিস্থানের উপর রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল। এরকম ষড়যন্র বাঙ্গালী ছাত্র-জনতা মেনে নিতে পারে নি। ঠিক সেই সময় থেকে বাঙ্গালীদের অন্তরে আন্দোলনের তীব্র আকাঙ্খা সৃষ্টি হয়।
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী। বাঙ্গালী তথা বিশ্ব ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল, এই চার বছরে ছোট বড় অনেক বিক্ষোপ, মিছিল ও আন্দোলনের সৃষ্টি হয়। ইতিহাসের সেই দিনটিতে ভাষার জন্য আত্মত্যাগ করেন সালাম, বরকত, রফিক ও সফিকসহ আরও অনেকে। মাতৃভাষার জন্য এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশ তথা বিশ্বের মানুষ চির জীবন মনে রাখবে। ভাষা আন্দোলনের এই অবিস্মরণীয় ইতিহাস আমাদের স্বাধীকার আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছে। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি।
ভাষা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটঃ
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্দোলনের পরেও কিন্তু বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য। তারপর ১৯৫৬ সালে পশ্চিম পাকিস্থানের সাধারন পরিষদে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরবর্তী পর্যায়ে, বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি প্রদান করেও পশ্চিম পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব-পাকিস্থানের সাধারণ মানুষের উপর নির্মম পৈশাচিক আচরণ করতে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের যেমন নাগরিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে ভাষা আন্দোলন। কেননা এটিকে কেন্দ্র করেই স্বাধীনতাকামী মানুষদের অন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রকাশ ঘটে। যেটি কিনা স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার তৎপরবর্তী সময়ে, আমরা ভাষা আন্দোলনের চেতনা কতটুকু বুকে লালন করতে পেরেছ? এটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
ভাষা শহিদদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি মাতৃভাষা “বাংলা”। বাংলা ভাষাভাষীর মানুষ প্রত্যেক বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে নানা ধরনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে এই দিনকে উদযাপন করে থাকে। যেটি কিনা আমাদের জন্য গেীরবের ও সম্মানের।
এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলা ভাষা তথা বিশ্বের সকল ভাষাকে সম্মান প্রদর্শন করার জন্য ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিঙ্গান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনস্কো বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ইউনেস্কোর ঘোষণায় বলা হয়,
“21st February is proclaimed International Mother Language Day throughout the world to commemorate the martyrs who sacrificed their lives on this day in 1952”
তৎপরবর্তী সময়ে ২০০০ সাল থেকে সমগ্র পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে। সারা বিশ্বের ১৮৮ টি দেশ মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এই দিনটি উদযাপন করে।
বাংলা ভাষার বর্তমান অবস্থাঃ
একটি প্রবাদ বাক্য আছে, “স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন” । ভাষা আন্দোলন করে মাতৃভাষা বাংলা অর্জিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমরা তা কতটুকু রক্ষা করতে পারছি?
বর্তমান আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় বাংলা ভাষার চর্চা দিনকে দিন হ্রাস পাচ্ছে। যা মারাত্মকভাবে লক্ষনীয়। প্রযুক্তির কল্যানে ভাষার অপব্যবহার হচ্ছে, যেটি মাতৃভাষার জন্য হুমকি স্বরুপ।
আমরা প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের শব্দ ব্যবহার করে থাকি যেমন- প্যারা, খাইছস, আসছস ইত্যাদি। এর শুদ্ধ উচ্চারণ হচ্ছে যন্রনা, খেয়েছ, আসছ। এভাবেই বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যেটি ভাষা বিলুপ্তি হওয়ার প্রধান অন্তরায়।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সভা, অনুষ্ঠানে লক্ষ করা যায় বাংলা ও ইংরেজীর মিশ্রণে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যেখানে একটি বাক্যে তিন চারটে ইংরেজী শব্দ জুড়ে দেওয়া হচ্ছে যা বাংলা ভাষার জন্য ভীতিকর ব্যাপার।
আরেকটা বিষয় লক্ষনীয়, প্রযুক্তির বদলেীতে, বিশেষ করে শিশুরা, বিভিন্ন ধরনের কার্টুন, অ্যানিমেশন, টিকটক, লাইকি ইত্যাদির প্রতি আসক্ত হচ্ছে যা মাতৃভাষা শিক্ষায় বিরুপ প্রভাব পড়ছে।
বর্তমান সময়ের প্রযুক্তি যেমন- ফেসবুক, মেসেন্জার, হোয়াটস্অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদির কল্যানে খুব দ্রুততার সাথে একে অপরে যোগাযোগ করা সম্ভব। এ ই যোগাযোগের ক্ষেত্রে মাতৃভাষা বাংলাকে ওলট-পালট করে ব্যবহার করা হচ্ছে। তথাকথিত, বাংলিশ ভাষার আমদানি হয়েছে! যা আমাদের বাংলা ভাষা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। একটু খেয়াল করে দেখুন, যখন কেউ ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করে, তখন অনেকেই মন্তব্য করে যেমন- Nc, osm, gd, wlc, prblm আরও কত কি! এটি যেমন অন্য ভাষাকে বিকৃত করা হচ্ছে তদ্রুপ বাংলা ভাষা ব্যবহারে হীনমন্ম্যতা প্রকাশ পাচ্ছে। এজন্য আমাদের বাংলা ভাষা তথা বিশ্বের সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা রাখা এবং সেগুলোর সঠিক ব্যবহার করা উচিত।
মাতৃভাষা পেয়েছি আন্দোলন ও রক্তঝরার বিনিময়ে। এ ভাষা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। সঠিক ভাষাজ্ঞান ও চর্চার মাধ্যমে শুদ্ধ ভাষার প্রয়োগ করা সম্ভব। অন্যথায় মাতৃভাষা বাংলা একদিন মুখ থুবরে পড়বে। বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে, এইভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর অন্যান্য ভাষার মতো বাংলা ভাষাও বিলুপ্তি হতে পারে যদি শুদ্ধ ভাষার চর্চা না হয়ে থাকে। এজন্য ভাষাকে বুকে লালন করতে হবে এবং এরই সাথে সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।
ভাষা আন্দোলন করে আমরা কী পেলাম?
মাতৃভাষা মানুষের একটি সহজাত প্রবৃদ্ধি। এটি একটি জাতিসত্তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সমগ্র পৃথিবীতে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায় এবং এক জাতি অন্য জাতি সম্পর্কে জানতে পারে।
আমরা সবাই জানি, ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী শহিদদের রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলা অর্জিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলন করে কি পেয়েছি, সেই বিষয়ে আলোকপাত করছি-
v বাঙ্গালীর অধিকার মাতৃভাষা বাংলা অর্জিত হয়েছে।
v স্বাধীকার আন্দোলনের অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
v ইউনেস্কো কর্তৃক “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি।
v একুশের চেতনা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পেরেছি।
v সর্বোপুরি, মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি।
মাতৃভাষা নিয়ে আমাদের প্রত্যাশাঃ
ঔপনিবেশিক শাসন আমল থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এ ই উপমহাদেশে নানা রকম শোষন বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে। সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্তরায় ছিল ব্রিটিশ শাসন আমল। যা আমাদের জাতি হিসেবে দাড়াতে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমরা বঞ্চিত হয়েছি আমাদের অধিকার থেকে। ঠিক একইভাবে, ১৯৪৭ দেশ বিভক্ত হওয়ার পরও আমরা বাঙ্গালীরা ছিলাম শোষিত, নিপীড়িত, অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বীকার এমনকি মাতৃভাষার উপর হস্তক্ষেপ। এ থেকে আমরা উত্তরণ করতে পেরেছি বটে কিন্তু মাতৃভাষা নিয়ে আরও প্রত্যাশা ও প্রয়াশ থেকেই যায়।
Ø শুধুমাত্র ২১ শে ফেব্রুয়ারীতেই মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা করে ক্ষান্ত থাকবো না, প্রতিটি দিবসই ভাষা আন্দোলনের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রাত্যহিক জীবন গড়ে তোলা উচিত।
Ø বাংলা ভাষা সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নিজের আত্মশুদ্ধি ও আত্মবিশ্লেষন করে সত্য ও সুন্দরের পথে চলা।
Ø বিশেষ করে তরুন সমাজকে জানতে হবে, ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস কি, কেন এবং কিভাবে সংঘটিত হয়েছিল এবং তদনুযায়ী একুশের চেতনাকে বুকে ধারন করে জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা।
Ø বর্তমানে আমাদের দেশে ত্রিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন- বাংলা, ইংরেজী ও মাদ্রাসা থেকে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। তবে বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ইংরেজী ভাষা শিক্ষার ভূমিকাও অনস্বীকার্য। তাই বলে বাংলা ভাষাকে ছোট কিংবা নিচু করে নয়।
Ø বিভিন্ন ধরনের বেসরকারী কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচুর পরিমানে বাংলা অলিম্পিয়াড, বানান, উচ্চারন, রচনা প্রতিযোগীতা ইত্যাদি আয়োজন করার মাধ্যমে বাংলা ভাষার চর্চা অব্যাহত রাখা।
Ø যেহেতু আমরা বাঙ্গালী, বাংলা ভাষা আমাদের আজন্মের অধিকার সেহেতু এই ভাষার মাধ্যমে ভাবনা-চিন্তা ও উপলবি্ধ করার গভীরতা অনেক। এজন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তথা তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসা-বানিজ্য, প্রযুক্তির আবিষ্কার ইত্যাদিতে উদ্বুদ্ধ করা। তবেই তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশ তথা সমগ্র পৃথিবীতে উন্নয়ন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সর্বোপুরি, নিজের মাতৃভাষাকে অন্তরের সূক্ষ্ম কোষে প্রতিস্থাপন করে, তা আলোয় পরিনত করে সেই আলোকে কাজে লাগিয়ে সত্য ও সুন্দরের পথে চলা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে দেশ ও দশের কল্যানে কাজ করা, ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছরে এটিই চাওয়া এবং প্রত্যাশা।