সৌদি আরব, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। চাঁদ দেখা গেলে রোববার থেকে রোজা রাখবেন বাংলাদেশি মুসলিমরা।
এর বেশ আগেই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটির সূচি অনুযায়ী, ঢাকায় প্রথম রোজায় সেহরির শেষ সময় ৪টা ২৭ মিনিট। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৪টা ৩৩ মিনিটে।
পয়লা রমজান চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে সূচিতে বলা হয়, ঢাকায় প্রথম রোজা শেষে ইফতারের সময় ৬টা ১৯ মিনিট। দ্বিতীয় রোজাতেও রাজধানীতে ইফতারের সময় একই, তবে সেহরির সময় ১ মিনিট কমে হবে ৪টা ৩২।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াহ ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত সূচিতে উল্লেখ করা হয়, সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে। ফজরের ওয়াক্ত শুরু সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পর রাখা হয়েছে।
ঢাকার সময়ের সঙ্গে যোগ করতে হবে
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ১ মিনিট যোগ হবে দিনাজপুর, লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও ও বগুড়ায়। ইফতারে ১ মিনিট যোগ হবে মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনায়।
ঢাকার সময়ের সঙ্গে সেহরিতে ২ মিনিট যোগ হবে মানিকগঞ্জ ও শরীয়তপুরে। ইফতারে একই সময় যোগ হবে নড়াইল ও টাঙ্গাইলে।
সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৩ মিনিট যোগ হবে মাদারীপুর, ফরিদপুর, বরিশাল, ভোলা ও নওগাঁয়। একইভাবে ইফতারে ৩ মিনিট যোগ হবে মাগুরা, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও সাতক্ষীরায়।
সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৪ মিনিট যোগ হবে পাবনা, রাজবাড়ী, নাটোর ও ঝালকাঠিতে। একইভাবে ইফতারে একই সময় যোগ হবে জামালপুর, রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহে।
ঢাকার সময়ের সঙ্গে সেহরিতে ৫ মিনিট যোগ হবে গোপালগঞ্জ, মাগুরা, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর। ইফতারে একই সময় যোগ হবে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায়।
সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৬ মিনিট যোগ হবে নড়াইল, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও বরগুনায়। ইফতারে একই সময় যোগ হবে গাইবান্ধা, নাটোর ও বগুড়ায়।
ঢাকার সময়ের সঙ্গে সেহরিতে ৭ মিনিট যোগ হবে খুলনা, যশোর, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায়। ইফতারে একই সময় যোগ হবে রাজশাহী, নওগাঁ, মেহেরপুর ও কুড়িগ্রামে।
ইফতারে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৮ মিনিট যোগ হবে রংপুর, জয়পুরহাট ও লালমনিরহাটে।
সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৯ মিনিট যোগ হবে সাতক্ষীরায়। ইফতারে ১০ মিনিট যোগ হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে।
ইফতারে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ১২ মিনিট যোগ হবে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে।
ঢাকার সময় থেকে বাদ দিতে হবে
সেহরিতে ঢাকার সময় থেকে ১ মিনিট বাদ দিতে হবে গাজীপুর, পঞ্চগড়, রংপুর ও চট্টগ্রামে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর ও পিরোজপুরে।
ঢাকার সময় থেকে সেহরিতে ২ মিনিট বাদ দিতে হবে নরসিংদী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা ও বান্দরবানে। ইফতারে দুই মিনিট বাদ দিতে হবে ঝালকাঠি, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও সুনামগঞ্জে।
সেহরিতে ঢাকার সময় থেকে ৩ মিনিট বাদ দিতে হবে লালমনিরহাট, শেরপুর, কুড়িগ্রাম ও রাঙ্গামাটিতে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে পটুয়াখালী, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরগুনা, বরিশাল ও চাঁদপুর।
সেহরিতে চার মিনিট বাদ দিতে হবে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে ভোলা, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও কুমিল্লায়।
ঢাকার সময় থেকে সেহরিতে ৫ মিনিট বাদ দিতে হবে নেত্রকোণা ও খাগড়াছড়িতে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে নোয়াখালী ও মৌলভীবাজারে।
সেহরিতে ঢাকার সময় থেকে ৬ মিনিট বাদ দিতে হবে হবিগঞ্জে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে ফেনীতে।
ঢাকার সময় থেকে সেহরিতে ৮ মিনিট বাদ দিতে হবে সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে খাগড়াছড়িতে।
সেহরিতে ঢাকার সময় থেকে ৯ মিনিট বাদ দিতে হবে সিলেটে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে চট্টগ্রামে।
রাঙ্গামাটিতে ইফতারে ১০ মিনিট বাদ দিতে হবে ঢাকার সময় থেকে। বান্দরবান, কক্সবাজারে ইফতারে ঢাকার সময় থেকে বাদ দিতে হবে ১১ মিনিট।