সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বরের নজরপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নাম ভাঙ্গিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটা ও স্থাপনা নির্মাণে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা।
শনিবার(২৫ মার্চ) সকালে নজরপুরে দেখা যায়, একটি স্কাভেটর মেশিন ও ১০জন শ্রমিক দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি। সেই মাটি পরিবহনে করছে ৫টি ট্রাক। ধান উৎপাদনে ব্যবহৃত এক একরের বেশি জমি প্রায় ৩ ফুট গভীর করে কাটছে মাটিখেকোরা। গভীর করে কাটা ফসলি জমির টপ সয়েল ইট ভাটায় বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিবহন করা হচ্ছে ট্রাক-ট্রলিতে।
এতে একদিকে যেমন বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক গ্রামীন কাঁচা-পাকা রাস্তা হুমকির মুখে। অন্যদিকে সড়কে পড়ে থাকা মাটিতে বৃষ্টির পানি পড়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া মাটি বিক্রি হওয়ায় কমছে চাষাবাদের জমি। জাতীয় খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ মাত্রায় পড়ছে বিরুপ প্রভাব। বাড়াচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি।
মাটি বোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে গ্রামের বিভিন্ন সড়ক নষ্ট হওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
নজরপুরের এক প্রবীণ ব্যক্তি জানান, একই গ্রামের আনোয়ার কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। বড়-বড় ট্রলি ও ট্রাকে করে মাটি পরিবহন করায় তার বাড়ির সামনের কাঁচা সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে।
অবৈধ ভাবে কৃষি জমির মাটি কাটার বিষয়ে জনতে চাইলে মাটি ব্যবসায়ী আনোয়ার জানান, এই মাটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের নিচু জমি ভরাটে ব্যবহার হচ্ছে। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা শাহীন মিয়ার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় ভূমি কর্মকর্তা শাহীন মিয়ার অনুমতি রয়েছে কি না সে বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কৃষি জমির মাটি কাটার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য কোন মাটি নেওয়া হচ্ছেনা। আর অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।