সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে খালের উপর ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: শাহিন মিয়া। রবিবার উপজেলার কালিকাপুর বাজারের বারুল চৌরাস্তায় নির্মানাধীন কাজ বন্ধ করেন তিনি।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পানি উন্নয়ণ বোর্ডের পক্ষ থেকে চলছে খাল খননের কাজ। একদিকে চলছে খাল খনন অন্যদিকে দখল দৌরাত্ম্য। কয়েকমাস পূর্বে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার খাল খননের কাজ শেষ হয়েছে। খনন শেষ হতে না হতেই বারুল চৌরাস্তা পাশের খাল দখল হচ্ছে।
জানা যায়, সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর বাজারের বারুল চৌরাস্তার থেকে সোনাপুর রাস্তার পাশের খাল দখল করছেন হেলাল নামের এক ব্যক্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযুক্ত হেলাল খাল পাড়ের নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণ শুরু করলেও কৌশলে দখল করছেন খালের একাংশ। অবৈধ ভাবে খাল দখল করে ভবন নির্মানের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্তের সাথে। সাক্ষাৎ হলে অভিযুক্ত হেলাল দখলকৃত জমির বৈধ কাগজ দেখাতে পারেন নি।
এরপূর্বে বৃহস্পতিবার এসিল্যান্ড নিজে ওই স্থানে গিয়েছিলেন। বিল্ডিংয়ের মালিক বা কন্ট্রাক্টরের লোকজন পালিয়ে যায় বলে জানান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার জহিরুল ইসলাম।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: শাহিন মিয়া জানান, বারুল চৌরাস্তার খালের জমিতে স্থাপনা নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ ভাবে ভবন নির্মানের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনের মালিককে পাওয়া যায়নি। তবে উপস্থিত শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এদিকে খননের পরপরই এভাবে খাল দখলের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তারা এসকল দখলদারদের নিবৃত্ত করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃড় পদক্ষেপ কামনা করেছেন।