নোয়াখালীতে ডাকাতির ২৬ দিন পর আট ডাকাতকে আটক করেছে সোনাইমুড়ীতে থানা পুলিশ। এসময় ডাকাত সর্দারকে আটকসহ তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত সাড়ে ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার,অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রবিবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নোয়াখালী,ফেনী,লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। সোমবার নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসপি শহিদুল ইসলাম (পিপিএম) সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হচ্ছেন খোরশেদ আলম টিপু(৩৭),মো.ফারুক(৩০), নুর কাশেম প্রকাশ মোহন(২৬), মো.ইউসুফ (৩৭), মুরাদ হোসেন (২৫), মো.রুবেল (২৬), নুরুল ইসলাম (৩৫) ও মো.লিটন (২৭)। পুলিশ তাদের আস্তানায় অভিযান করে ১টি পাইপগান,৩টি কার্তুজ,২টি লোহার তৈরি সাবল,৩টি ছেনি ও সাড়ে ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলন এসপি শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২৬ অক্টোবর রাতে সোনাইমুড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের হাজী মো. আলী আজম মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী জাকির হোসেন মানিকের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাত ২টার দিকে ১৫/২০জন মুখোশধারি ডাকাত দল ঘরের এসএস গেইটের তালা ভেঙ্গে পরিবারের সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৬ লক্ষ ৮৫হাজার টাকা,সাড়ে ৩০ভরি স্বর্ণালংকার ৩টি মোবাইল ফোন লুটে নেয়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী জাকির হোসেন মানিক গত ২৮ অক্টোবর অজ্ঞাত ১৫/২০জনের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)জামাল হোসেন দীর্ঘদিন তদন্তের পর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের আস্তানার সংবাদ পায়।
রবিবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের মুল সদস্য খোরশেদ আলম টিপুকে তার দুই সহযোগীসহ নোয়াখালী সদর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত দলের আরও ৮ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
ডাকাত দলের সর্দার ও পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত.সানাউল্লাহের ছেলে খোরশেদ আলম টিপু ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত স্বর্ণ পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার বকশিগঞ্জ বাজারে নাইমুল স্বর্ণশিল্পালয় সাড়ে ১ভরি ও ফেনী জেলা সদরে গোপালপট্রি স্বর্ণ শিল্পালয়ে ১৫ভরি স্বর্ণ বিক্রি করে।
ডাকাত দলের স্বীকারোক্তিতে আরও জানা যায়, ঐ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির পূর্বে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নুরুল ইসলাম কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতে যায়। নুরুল তার সহযোগী ডাকাত সর্দার খোরশেদ আলম টিপুকে নিয়ে ঐ বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। সোনাইমুড়ী-চাটখীল থানার এএসপি (সার্কেল)রাজিব হাসান ও সোনাইমুড়ী থানার ওসি জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।