‘‘আমরা শত্রুতার বদলে ভ্রাতৃত্বের, হিংসার বদলে সম্প্রীতির, ধ্বংসের বদলে নির্মাণের ও অজ্ঞতার বদলে শিক্ষার আলো জ্বালাচ্ছি। গত ২৬ বছর আমরা একটিও অন্যায় বা প্রচলিত আইনভঙ্গ করিনি।’’ কথাগুলো বলছিলেন অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা এ কথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার(১১ এপ্রিল) বিকালে নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর পোরকরা গ্রামে হেযবুত তওহীদের নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে এ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকালে আসরের নামাজের শেষে হেযবুত তওহীদের এমামের নিজ বাসভবনের কনফারেন্স হলে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সামনে তিনি হেযবুত তওহীদের বক্তব্য, লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কর্মপন্থা তুলে ধরেন। তিনি তুলে ধরেন দীর্ঘদিন থেকে তার পরিবারের উপর চলমান অন্যায়, অবিচার, অপপ্রচার ও নির্যাতনের কথা।

মোহাম্মদ সেলিম আলোচনায় উল্লেখ করেন ২০১৬ সালের ১৪ই মার্চ নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, জোড়া খুন ও ধর্মান্ধ শ্রেনীর পরিকল্পিত সেই রোমহর্ষক ধ্বংস যজ্ঞের বর্ণনা।
তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে হাইজ্যাক করে এই ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আরেকটি গোষ্ঠী পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে এই হামলার নেপথ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইন্ধন যুগিয়েছে। তার বাড়িতে হামলা, তাণ্ডব ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে পরবর্তীতে স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার করেছে। ফলে সেই ঘটনায় জড়িত আসামিরা যথাযথ শাস্তির আওতায় আসছে না। তারা সহজেই আইনী ধরাছোঁয়ার বাইরে গিয়ে দম্ভভরে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। হত্যার ঘটনার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ন্যায় বিচার পায়নি।
এসময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে নোয়াখালীসহ দেশব্যাপী যে উন্নয়নমূলক প্রকল্প হেযবুত তওহীদ গ্রহণ করেছে তার ধারণা প্রদান করেন। সাংবাদিকগণ অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে মোহাম্মদ সেলিমের বক্তব্য শোনেন। বক্তব্য শেষে ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতার পর্ব শেষে সংবাদকর্মীরা হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। আলোচনা সভার মুলবক্তা মোহাম্মদ সেলিম সে সকল প্রশ্নের উত্তর দেন।